ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুভি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আপনি কি সে সম্পর্কে জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। আসুন কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করতে হয় তা জেনে নেয়।


পেজ সূচিপত্রঃভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম বিস্তারিত

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারে গ্লাস স্কিন 

গ্লাস স্কিন মানে কি শুধু ফর্সা ত্বক? ফর্সা ত্বক হলে কিন্তু সেটা কে গ্লাস স্ক্রিন বলে না। গ্লাস স্কিন মানে হচ্ছে স্বচ্ছ কাঁচের মতো। ত্বকে কোন রকমের কালো দাগ ছোপ থাকবে না। ত্বকে অন্য রকমের একটা গ্লো থাকবে। ত্বকটা টানটান হয়ে থাকবে। ত্বকের কোন জায়গায় কুঁচকানো থাকবে না। উজ্জ্বল মসৃণ থাকবে এমন একটা ত্বককে বলা হয়ে থাকে গ্লাস স্কিন। আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল যেভাবে ব্যবহার করে গ্লাস স্কিন পেতে পারি। যে উপকরণ গুলো লাগবে সেগুলো হলো,
  1. গরুর কাঁচা দুধ
  2. ভিটামিন ই ক্যাপসুল এক থেকে দুইটি
  3. অ্যালোভেরা জেল
প্রথমে গরুর কাঁচা দুধের মধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল দিতে হবে। তারপর এলোভেরা জেল নিতে হবে। আপনি এখানে গাছের অ্যালোভেরা পাতা থেকেও নিতে পারেন অথবা কেনা এলোভেরা জেল ও নিতে পারেন। বাজারে কেনা এলোভেরা জেল নেওয়ার সময় দেখে নিবেন। এলোভেরা জেল রং বিহীন হয় এবং গন্ধযুক্ত না হয়। কারণ এলোভেরার কোন রং হয় না। কোন রকমের গন্ধ থাকে না। এই তিন উপকরণ গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ মেশানোর পর এটা দেখবেন একটু ক্রিমের মতো হয়ে আসবে। তখন আপনি এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিবেন। আপনি চাইলে এই মিশ্রণটি যে কোন জায়গাতে লাগাতে পারে এভাবে করে। আপনি প্রতি দিন ব্যবহার করলে খুব একটা ভালো রেজাল্ট পাবেন। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে ব্যবহার করলে ভালো একটা রেজাল্ট পাবেন। আপনার ত্বক হবে গ্লাস স্কিন।

আরো পড়ুনঃ চাল, তিসি ও অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটি ভালো 

যেকোনো ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যায়। পার্থক্য শুধু শক্তির যেমন আমরা গ্যাসের সমস্যার কারণে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে থাকি। কারো ক্ষেত্রে ২০ গ্রামেরটা খেলে কাজ করে। আবার কারো ক্ষেত্রে ২০ গ্রামটা কাজ করে না ৪০ গ্রামটা কাজ করে থাকে। ঠিক ভিটামিন এই ক্যাপসুলেরও কাজ তেমনি। তবে হ্যাঁ খাওয়ার জন্য ৪০০ গ্রামের টা খাওয়া বেশি উপকারী আর ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার যেটা ইচ্ছা সেটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হবেন? আসুন দেখে নেই। প্রথমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২ দিয়ে ৪০০ গ্রামের নিতে হবে, টক দই ২ চা চামচ, লেবুর রস চার থেকে পাঁচ ফোঁটা নিতে হবে। এই তিন উপকরণ ভালো করে মিক্সড করে নিতে হবে। এরপর পুরো মুখ ভালো করে পরিষ্কার


করে নিতে হবে ফেসওয়াশ দিয়ে। তারপর যে ফেস প্যাকটা আমরা বানিয়ে রেখেছি সে ফেসপ্যাক টা পুরো মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। ৩০মিনিট লাগানোর পর হাতের সাহায্যে ম্যাসাজ করতে হবে কিছুক্ষণ। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এই প্যাকটি প্রথম দিন ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন আপনার ত্বকের পরিবর্তন। ত্বক হবে নরম মসৃণ টানটান এবং গ্লোয়িং। এই প্যাকটা সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করতে পারেন আশা করি ত্বকের যে কোন সমস্যা সমাধান পেয়ে যাবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম কত 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে তাই একেকটার দাম এক এক রকম যেমন ২০০ গ্রামের দাম পড়বে পাঁচ টাকা পিচ করে। ৪০০ গ্রামের ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম পড়বে ৭ টাকা পিচ করে। আর ৬০০ গ্রামের ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম পড়বে ৭/৮ টাকা পিচ করে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম যেভাবে বানাতে হবে, প্রথমত যেকোন ক্রিম সেটা হতে পারে পর্নস ক্রিম, জনসেন্স ক্রিম এই ক্রিমের মধ্যে তিন থেকে চারটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল বের করে মিশিয়ে নিতে হবে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার সময় মুখটা ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে তারপর এই ক্রিমটা মুখে ভালোভাবে মেখে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এভাবে করে আপনারা নাইট ক্রিম ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে নাইট ক্রিম খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারেন

শুষ্ক ত্বকে যেভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার 

যাদের ত্বক শুষ্ক তারা কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে ব্যবহার করবেন? চিন্তার কিছু নেই আমার এ লেখাটি আপনাদের জন্য লেখা পড়লে বুঝতে পারবেন কিভাবে শুষ্ক ত্বকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার করতে হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক,
প্রথমে এক চামচ মধুর সঙ্গে দুই চামচ কাঁচা গরুর দুধ এবং দুইটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল বের করে মিশিয়ে নিতে হবে এরপর সে মিশ্রণ পুরো মুখে মাসাজ করে লাগিয়ে নিতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন এবং আপনার ত্বক হবে নরম ও মসৃণ।

বলিরেখা দূর করতে ভিটামিন এই ক্যাপসুল 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। বলিরেখা দূর করতে ভিটামিন এই ক্যাপসুল একটি কার্যকারী উপাদান আমাদের ত্বকে যে বলিলেখা পড়ে যায় তা দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অনেক সাহায্য করে থাকে। কুঁচকে যাওয়া ত্বকও অন্যান্য দাগ দূর করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা 

  1. ব্রণের দাগ দূর করতে 
  2. ত্বক ফর্সা করতে 
  3. তৈলাক্ত ত্বকে 
  4. মুখের যে কোন দাগ দূর করতে 
  5. উজ্জ্বলতা বাড়াতে 
  6. ত্বকে টানটান করতে 
  7. বলিরেখা দূর করতে 
  8. বয়সের ছাপ কমাতে 
  9. চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে 
  10. ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে 
  11. ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল 

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারি। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল সরাসরি ঠোঁটে লাগানো যায়। ঘুমানোর সময় ঠোঁটে ভিটামিনের ই ক্যাপসুল লাগিয়ে ঘুমাতে পারি। আবার লিপ বাম এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিক্সড করে ও ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন আমরা যদি ঠোটে স্ক্রাব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি তাহলে খুব ভালো একটা রেজাল্ট পাওয়া যায়। যেভাবে স্ক্রাব বানাতে হবে, চিনি লেবুর রস এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে কিছুক্ষণ আঙ্গুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে স্ক্রাব এর সাহায্যে মাসাজ করার ফলে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠাতে এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
আমাদের শেষ কথা
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান? তাহলে উপরোক্ত নিয়ম মেনে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে হবে। তাহলে খুব দ্রুত ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকার পাবেন
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত‌ ভাবে এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

ভিডিও দেখতে নিচে দেখুন


💙

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url