মেয়েদের পায়ের নতুন মেহেদী ডিজাইন-ছবি সহ

মেহেদী দেওয়ার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি জন্য এবং উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মেহেদী বা হেনা একটি উদ্ভিদজাত রঞ্জক যা প্রাকৃতিকভাবে হাতে,পায়ে আঁকা হয়ে থাকে।
বিশেষিত মুসলিম সাংস্কৃতিতে এটি বিবাহ, ঈদ এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি প্রচলিত রীতি। মেহেদি দেওয়া নিয়ে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল:



পেজ সূচিপত্র: আপনি যে অংশটুকু দেখতে চাচ্ছেন সেখানে ক্লিক করুন


মেহেদীর উৎপত্তি ও ইতিহাস

মেহেদির ব্যবহার প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় পাওয়া যায় যেখানে এটি রূপচর্চা এবং ধর্মীয় রীতি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ভারতীয় উপমহাদেশে এটি মূলত মুসলিম এবং হিন্দি সংস্কৃতিতে প্রচলিত আছে।
মেহেদী সাধারণত উৎসব, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং রমজান শেষে ঈদ উপলক্ষে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে দেখা যায় ঈদের আগের দিন ছোট থেকে বড় সবাই হাতে-পায়ে মেহেদী পড়ে। বিষয়টি খুব উপভোগ করে ছোট থেকে বড় সব মেয়েরাই। মেহেদী এমন একটি জিনিস যেটা কিনা মেয়েরা হাতে এবং পায়ে দেওয়ার কারণে অনেক সুন্দর দেখায়।

মেহেদীর ধরন তিন প্রকার

মেহেদি প্রধানত তিন ধরনের হয়ে থাকে যেমন:

প্রাকৃতিক মেহেদী: মেহেদি পাতা গুড়া করে একটি পেস্ট তৈরি করা হয়, যা হাতে পায়ে ব্যবহার করা হয়। এটি সবুজ বর্ণের পেস্ট হলেও শুকানোর পর লালচে-বাদামি রঙ ধারণ করে।
কেমিক্যাল মেহেদী: এ ধরনের মেহেদীতে কৃত্তিম রঙ মেশানো হয়, যা দ্রুত রং দেয় তবে এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকরক হতে পারে।
কালো মেহেদী: কালো মেহেদী মূলত কেমিক্যাল মিশ্রিত মেহেদী, যা ত্বকের ওপর কালো রঙের দাগ সৃষ্টি করে।

মেহেদী ডিজাইনের ধরন

মেহেদি দেওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের নকশা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু প্রচলিত ডিজাইন রয়েছে যেমন: যেমন:

আরবীয় ডিজাইন: আরবীয় মেহেদী ডিজাইনে সাধারণত বড় বড় ফুল পাতা ও জ্যামিতিক আকারের নকশা থাকে, যা হাতে ও পায়ে ছড়িয়ে থাকে।

ভারতীয় ডিজাইন: ভারতীয় মেহেদী ডিজাইনের সূক্ষ্ম কারুকাজ এবং বিভিন্ন প্যাটার্নের ব্যবহার থাকে। বিয়ের সময় এই ডিজাইনগুলো বেশি জনপ্রিয়।

আধুনিক ডিজাইন: আধুনিক মেহেদীতে বিভিন্ন ধরনের কাস্টম নকশা ওই স্টাইল ব্যবহার করা হয়। এতে চেহারা প্রতীক বা অন্য যেকোনো জটিল ডিজাইন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।



মেহেদির ব্যবহার ও পদ্ধতি


মেহেদী গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করা হয়, অনেক সময় এতে লেবুর রস, চিনি বা তেল মেশানো হয় যাতে রং গভীর হয়।
মেহেদী পাইপের সাহায্যে হাতে বা পায়ে আঁকা হয়। পেস্টি লাগানোর পর তিন থেকে চার ঘন্টা বা তার বেশি সময় পর্যন্ত রাখতে হয়। এরপর মেহেদী শুকিয়ে গেলে তা তুলে ফেলা হয় এবং এর রং পরে গাঢ় হয়।



বিশেষ উপলক্ষ ও ঐতিহ্য


মেহেদী দেওয়ার রীতি বিয়েতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, বিশেষিত বিয়ের আগের রাতে "মেহেদী অনুষ্ঠান" একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।


বর এবং কোন একে মেহেদি দেওয়ার পাশাপাশি অতিথিরা ও মেহেদী দিয়ে সাজগোজ করে থাকে। বিয়ের কনে কে হাতে এবং পায়ে সুন্দর করে মেহেদী পড়ানো হয়।
মেহেদি নারীর সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতির এক বিশেষ অংশ। এটি নারীদের সৃজনশীলতা ও একটি প্রকাশভঙ্গি।














এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url