শীতে পা ফাটা দূর করার ক্রিমের নাম
শীতের পা ফাটা দূর করার ক্রিমের নাম সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। শীতে পা ফাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য হেল্পফুল
হতে চলেছে। আজকে আমরা শীতে পা ফাটা থেকে রক্ষা কিভাবে পাবেন সে বিষয়ে আলোচনা
করবো ।শীতে পা ফাটা দূর করা কিছু কার্যকরী ক্রিমের নাম জানাবো আজকের পোস্টটিতে। লেবু এবং গরম পানির ভাপের মাধ্যমে পা ফাটা দূর করা যায়।
এরকম আরো
কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা আপনি বাড়িতে বসে আপনার পায়ের যত্ন নিতে পারেন।
জানাবো আজকে সেসব বিষয়।আপনি যদি আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন
তাহলে কিভাবে শীতের পা ফাটা থেকে রক্ষা পাবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
নিচে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো, যা আপনাকে পা ফাটা
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
পেজ সূচিপত্র: শীতে পা ফাটা দূর করার ক্রিমের নাম
- শীতে পা ফাটা দূর করার ক্রিম নাম
- লেবু এবং গরম পানির ভাপ
- নারিকেলের তেল এবং মধু মিশ্রণ
- অলিভ অয়েল ম্যাসাজ
- চিনি এবং অলিভ অয়েল এর স্ক্রাব
- কলা এবং অ্যাভোকাডো মাক্স
- গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল
- দুধ ও মধুর ফুটবাথ
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সোক
- ভ্যাসলিন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
- পর্যাপ্ত পানি পান করা
- শীতে ত্বকের যত্ন
- শীত কালে চুলের যত্ন
- লেখক এর শেষ কথা
শীতে পা ফাটা দূর করার ক্রিম নাম
শীতকালে পা ফাটা এবং শুষ্ক হওয়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। আবহাওয়ার শুষ্কতা ও
ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে ত্বক আর্দ্রতা হারায়, যার ফলে পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে
যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তিপেতে কিছু কার্যকরী ক্রিমের নাম নিচে দেওয়া হল:
ক্র্যাক গার্ড ক্রিম
ইমুরিয়া ২৫
ক্যারাসল৬%
ক্যারাসল ক্রিম১২%
হিল গার্ড
ইকিউরা১০% ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম
ক্র্যাক হিল রিপেয়ার
বানানা মিল্ক ক্রিম
ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
ক্রিম ব্যবহার করার আগে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
তারপর ক্রিমটি ভালো করে পায়ে লাগিয়ে নিতে হবে। ক্রিম লাগানো পরে মজা পড়ে নিতে
হবে এতে করে বিছানায় ক্রিম লাগার সম্ভাবনা থাকবে না। ক্রিম শুধু রাতে ঘুমানোর
আগে ব্যবহার করবেন।
লেবু এবং গরম পানির ভাপ
লেবু প্রাকৃতিক অ্যাসিড হিসাবে কাজ করে এবং ত্বকের মরা কোষ তুলে ফেলতে সাহায্য
করে। গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। পা কিছুটা নরম হয়ে
গেলে হালকা ব্রাশ বা পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষুন। এটি ত্বকের মরা কোষ দূর করতে এবং
ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করবে।
- এক বালতি গরম পানিতে এক টুকরো লেবুর রস মেশান।
- পা ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর হালকা করে স্ক্রাব করুন এবং মশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখুন।
- এরপর হালকা করে স্ক্রাব করুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখুন।
নারকেল তেল এবং মধুর মিশ্রণ
নারকেল তেল ত্বকের শুষ্কতা কমাতে এবং গভীর আর্দ্রতা যোগাতে সহায়ক। মধু প্রাকৃতিক
অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য
করে। এই মিশ্রণটি পা ফাটা প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
- এক টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
- ফাটা অংশে মিশ্রণটি লাগান এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অলিভ অয়েল ম্যাসাজ
অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং পায়ের ত্বক মসৃণ রাখতে
সহায়ক। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে এবং পায়ের ত্বককে স্বাস্থ্যকর
রাখে।
- কিছু অলিভ অয়েল হালকা গরম করুন।
- পায়ের ফাটা অংশে হালকাভাবে তেল ম্যাসাজ করুন।
- তারপর মোজা পরে ঘুমিয়ে যান, যাতে তেল পায়ের ত্বকে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে।
চিনি এবং অলিভ অয়েলের স্ক্রাব
চিনি ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সহায়ক, আর অলিভ অয়েল ত্বককে মসৃণ এবং কোমল রাখে।
এই স্ক্রাবটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে পায়ের ফাটা দূর হয়ে মসৃণতা আসবে।
- ২ টেবিল চামচ চিনি এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
- এই মিশ্রণটি দিয়ে পায়ের ফাটা অংশে আলতোভাবে স্ক্রাব করুন।
- হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান।
কলা এবং অ্যাভোকাডো মাস্ক
কলা এবং অ্যাভোকাডো উভয়ই প্রাকৃতিক আর্দ্রতায় ভরপুর। এই মাস্কটি পায়ের শুষ্কতা
দূর করে এবং ফাটা পা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
- ১টি পাকা কলা এবং ১টি পাকা অ্যাভোকাডো নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
- পায়ের ফাটা অংশে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
গ্লিসারিন এবং গোলাপজল
গ্লিসারিন এবং গোলাপজল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক। এই মিশ্রণটি ত্বকে
প্রাকৃতিক আর্দ্রতা যোগায় এবং ত্বককে কোমল করে তোলে।
- সমপরিমাণ গ্লিসারিন এবং গোলাপজল মিশিয়ে নিন।
- রাতে শোবার আগে পায়ের ফাটা অংশে মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন।
- এটি ব্যবহারের পর আপনি মসৃণ এবং কোমল ত্বক অনুভব করবেন।
দুধ ও মধুর ফুটবাথ
দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা
ফিরিয়ে আনতে সহায়ক। মধু ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে।
- এক বালতি গরম পানিতে এক কাপ দুধ ও দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
- পা ১৫-২০ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখুন।
- এরপর স্ক্রাব করুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার সোক
অ্যাপল সিডার ভিনেগার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের পিএইচ
লেভেল বজায় রাখতে সহায়ক, যা পা ফাটা সমস্যা দূর করে।
- হালকা গরম পানিতে এক কাপ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মেশান।
- পা ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এবং পরে স্ক্রাব করুন।
ভ্যাসলিন এবং মোজার ব্যবহারে রাত্রিকালীন যত্ন
ভ্যাসলিন শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য একটি জনপ্রিয় উপাদান। রাতে
পায়ে ভ্যাসলিন লাগিয়ে মোজা পরে ঘুমালে ত্বক গভীরভাবে আর্দ্রতা পায়।
- রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের ফাটা অংশে ভালোভাবে ভ্যাসলিন লাগান।
- মোজা পরে শুয়ে পড়ুন, যাতে ভ্যাসলিন আরও কার্যকরভাবে ত্বকে প্রবেশ করতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
শীতকালে প্রায়শই আমরা কম পানি পান করি, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পর্যাপ্ত
পানি পান ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং শরীরের ভেতর থেকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে
সাহায্য করে।অতিরিক্ত কিছু টিপস পা ফাটা প্রতিরোধে নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন এবং
পা পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে গরম পানিতে পা ধোয়ার সময় খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার না করার চেষ্টা
করুন, কারণ এটি ত্বককে আরও শুষ্ক করে দিতে পারে।খনিজ ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খান,
যা ত্বককে সজীব রাখতে সহায়ক।ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রতিদিন
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
শীতে ত্বকের যত্ন
শীতে ত্বকের যত্ন: আপনার ত্বকের সুরক্ষার সেরা উপায় গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হল
শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং শুষ্ক বাতাস ত্বককে রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে। এ সময়
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। শীতে সঠিক যত্নের অভাবে ত্বক ফেটে
যাওয়া, চুলকানি এবং অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। ত্বক সুন্দর ও সুস্থ রাখতে সঠিক
পরিচর্যা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা শীতে
আপনার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ধরে রাখুন
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এজন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত
জরুরি।ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।শীতে ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন যা ত্বকের
গভীরে আর্দ্রতা পৌঁছায়। শিয়া বাটার, কোকোয়া বাটার, বা সেরামাইডসমৃদ্ধ
ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজ করে।
ময়েশ্চারাইজার লাগানোর সঠিক সময় মুখ ধোয়ার পর এবং গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার
লাগান। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শীতকালে তৃষ্ণা কম অনুভূত হলেও, শরীর হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।পানি
শরীর এবং ত্বক আর্দ্র রাখে। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।চা, কফি বা
অ্যালকোহল কম গ্রহণ করুন, কারণ এগুলি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
শীতকালে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষার প্রয়োজন হয়।উপযুক্ত সানস্ক্রিন
৩০ SPF বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।বাইরে যাওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগে
সানস্ক্রিন লাগান এবং ২-৩ ঘণ্টা পর পুনরায় লাগান।
গরম পানিতে গোসল এড়িয়ে চলুন
শীতকালে গরম পানিতে গোসল করলে আরাম লাগলেও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট
করে।হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।গোসলের সময় শরীরের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখতে
ময়েশ্চারাইজিং সোপ বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করুন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে বসেই ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।মধু একটি প্রাকৃতিক
ময়েশ্চারাইজার। এটি সরাসরি ত্বকে লাগান এবং ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।দই ও মধুর
প্যাকদই এবং মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে।
অ্যালোভেরা জেলত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এটি ত্বক
ঠাণ্ডা এবং নরম রাখতে সাহায্য করে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন সুস্থ ত্বকের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।শীতে
বাদাম, মাছ, অ্যাভোকাডো, বীজ এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খান।এন্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ
সবজি যেমন ব্রকলি, পালং শাক, এবং গাজর ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ঠোঁটের যত্ন নিতে ভুলবেন না শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া খুব সাধারণ।লিপ বাম, শিয়া বাটার
বা কোকোয়া বাটারযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন।প্রাকৃতিক উপায় ঠোঁটে নারকেল তেল বা
মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন। এটি ঠোঁট নরম রাখে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুনসুস্থ ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি।রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।ঘুমের সময় শরীর এবং ত্বক নিজেকে পুনর্গঠন করে।
বায়ু আর্দ্রতা বজায় রাখুন
শীতকালে ঘরের ভেতরের বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়, যা ত্বকের শুষ্কতার কারণ হতে
পারে।হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।ঘরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার
করতে পারেন।গাছ রাখুন ঘরের ভেতরে গাছ রাখলে পরিবেশ আর্দ্র থাকে।
নিয়মিত স্ক্রাব করুন
শীতে মৃত ত্বক সেল সরাতে স্ক্রাব করা জরুরি।হালকা স্ক্রাবার বেছে নিন।শুষ্ক
ত্বকের জন্য মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করুন।সপ্তাহে ১-২ বার স্ক্রাব করুন।শীতে ত্বকের
সঠিক যত্ন নিতে হলে নিয়মিত পরিচর্যা এবং সঠিক অভ্যাস বজায় রাখা প্রয়োজন।
প্রাকৃতিক উপাদান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং সঠিক প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবহারের
মাধ্যমে আপনি ত্বককে শীতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারবেন। শীতকাল উপভোগ
করতে ত্বক সুন্দর ও সজীব রাখতে উপরের টিপসগুলো মেনে চলুন।
শীত কালে চুলের যত্ন
শীত কালে চুলের যত্ন নেওয়া গুরুতপূর্ণ বিষয়। শীত চুলের সমস্যা যেমন শুষ্কতা,
খুশকি, চুল ঝরা এবং রুক্ষতা বেড়ে যায়। শীতের ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া এবং গরম
পানির ব্যবহারের কারণে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। এই সময়ে চুল সুস্থ ও
উজ্জ্বল রাখতে কিছু বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। নিচে শীতে চুলের যত্নের জন্য কিছু
কার্যকরী পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
- চুলে তেল লাগানো অত্যন্ত জরুরি
- শীতকালে চুল শুষ্ক হয়ে যায়, তাই তেলের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সপ্তাহে ২-৩ দিন চুলে তেল লাগান
- নারকেল তেল, বাদাম তেল, বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।
- গরম তেলের ম্যাসাজ
- হালকা গরম তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলের গ্রোথ বাড়ায়।
- চুল ধোয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন
- শীতকালে চুল ধোয়ার পদ্ধতি খুব গুরুত্বপূর্ণ।গরম পানি এড়িয়ে চলুন:
- অতিরিক্ত গরম পানি চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে। হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
- মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
- শীতকালে সলফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
- শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
- এটি চুল নরম এবং মসৃণ রাখে।
শীতে চুলে পুষ্টি যোগানোর জন্য প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।ডিম ও মধুর
প্যাক
একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর
ধুয়ে ফেলুন।দই ও অলিভ অয়েলের প্যাক ২ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অলিভ
অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। এটি চুলে আর্দ্রতা যোগায়।
খুশকি প্রতিরোধে ঘরোয়া সমাধান
শীতকালে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। এর সমাধান পেতে ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন। নারকেল
তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এটি খুশকি দূর করে।অ্যালোভেরা
জেল
অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান এবং ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে
মসৃণ রাখে।চুল শুকানোর পদ্ধতি পরিবর্তন করুন শীতে চুল শুকানোর জন্য কিছু সাবধানতা
প্রয়োজন।প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকানহেয়ার ড্রায়ার কম ব্যবহার করুন, কারণ এটি
চুল শুষ্ক করে তোলে।নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। চুল মুছতে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন
যাতে চুল কম ভেঙে যায়।
ডায়েটের মাধ্যমে চুলের যত্ন- সুন্দর চুলের জন্য ভেতর থেকে পুষ্টি প্রয়োজন।প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান:
- ডিম, মাছ, বাদাম, এবং মসুর ডাল চুলের পুষ্টি যোগায়।
- ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩:
- বাদাম, চিয়া বীজ, এবং অ্যাভোকাডো খেলে চুল মজবুত হয়।
- পানি পান করুন:
- দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন যাতে চুল হাইড্রেট থাকে।
- চুলে নিয়মিত ট্রিম করুন
শীতকালে চুলের ডগা ফাটে, যা চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে।প্রতি ৬-৮ সপ্তাহে চুলের ডগা
ট্রিম করুন।
এতে চুল স্বাস্থ্যকর এবং ঝরঝরে থাকবে। চুল বাঁধার সময় সতর্ক থাকুন। শীতকালে চুল
রুক্ষ হওয়ার কারণে চুল বাঁধার সময় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।খুব বেশি শক্ত করে চুল
বাঁধবেন না।
সুতির কাপড়ের বদলে সিল্ক বা স্যাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করুন।
হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন- প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।কলা ও মধুর মাস্ক:
- একটি পাকা কলা ম্যাশ করে এর সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগান।
- মেথি বীজের মাস্ক:
- ভিজিয়ে রাখা মেথি বীজ পেস্ট করে চুলে লাগান। এটি খুশকি দূর করে এবং চুল মজবুত করে।
- রাতে ঘুমানোর সময় চুলের সঠিক যত্ন নিন।ব্রাশ করুন:
- ঘুমানোর আগে চুল ভালোভাবে ব্রাশ করুন যাতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
- চুল খোলা রেখে ঘুমান
- চুল শক্ত করে না বেঁধে খোলা রাখুন।
শীতকালে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত পরিচর্যা এবং পুষ্টিকর
খাদ্যাভ্যাস অপরিহার্য। প্রাকৃতিক উপাদান, সঠিক হেয়ার কেয়ার পণ্য, এবং
স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে চুলকে শীতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
শীতকাল উপভোগ করতে চুলকে স্বাস্থ্যকর ও ঝরঝরে রাখতে উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ
করুন।
লেখক এর শেষ কথা
শীতে পা ফাটা দূর করার ক্রিমের মাধ্যমে আপনি আপনার পায়ের যত্ন নিতে পারেন।
এখানে যে ক্রিমের নামগুলো দেওয়া হয়েছে আপনি আপনার পছন্দের ক্রিমটি দিয়ে শীতে
পায়ের যত্ন নিতে পারেন। এতে করে শীতে আপনার পা ফাটা থেকে আপনি মুক্তি
পাবেন, এবং এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো নিয়মিতভাবে ব্যবহার করলে শীতকালে পা ফাটা
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url